চারদিকে ভয়াবহ করোনা আতঙ্কের মধ্যে এর প্রতিরোধক ওষুধ তৈরির গবেষণায় প্রাথমিক সফলতা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন গবেষক। তারা বলছেন, দেশীয় উদ্ভিদ ও প্রযুক্তি ব্যবহারে করোনা নিরাময়ে ওষুধ তৈরি সম্ভব। দ্রুত এ গবেষণাকে কাজে লাগাতে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এ গবেষক দলের সদস্যরা।
চীনের উহান থেকে মরণঘাতী করোনা ভাইরাস এখন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই। প্রতিরোধক বা প্রতিষেধক না থাকায় লকডাউনই একমাত্র সমাধান বিবেচনায় স্থবির হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। নিরাময়ে ওষুধ আবিষ্কারে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষণা। বসে নেই বাংলাদেশও। গাজীপুরে ডুয়েটের তিন শিক্ষক জানালেন, এ নিয়ে তাদের গবেষণার প্রাথমিক সাফল্যের কথা।
ডুয়েট যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এখানে কার্বোক্সিল গ্রুপ কার্বো অক্সাইল গ্রুপ এবং এমাইনো অক্সাইল গ্রুপকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে।
তারা জানালেন, মরণব্যাধি করোনাভাইরাসের বিভিন্ন প্রোটিনে নানাবিধ রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। যা শ্বাসনালীসহ মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এসব উপাদানগুলো নিবিড়ভাবে পরীক্ষা আর অনুসন্ধানে তারা এ ভাইরাসের মধ্যে কার্বোক্সিল ও এমাইনো গ্রুপ পেয়েছেন। দীর্ঘ গবেষণায় এ গ্রুপগুলো অকার্যকর করতে হাইড্রোক্সিল প্রভাব ফেলবে বলে প্রমাণ পেয়েছেন। এ অবস্থায় তারা দেশীয় ও সহজলভ্য হাইড্রোক্সিলের বিভিন্ন উৎস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে আবিষ্কার করেন দেশীয় উদ্ভিদের উপাদানের মধ্যে হাইড্রোক্সিল গ্রুপ রয়েছে। পরবর্তীতে ওইসব উদ্ভিদকে প্রথমে এক্সট্র্যাক্ট করে পজেটিভ ফল পান তারা।
গবেষকদের দাবি, এসবের সঙ্গে আরো কিছু প্রাকৃতিক উপাদানযুক্ত করেই করোনা নিরোধক ওষুধ তৈরি করা যেতে পারে। শুধু করোনা নিরোধই নয়, ভাইরাস থেকে মানবদেহকে রক্ষা করতে ইলেক্ট্রো-ইস্পান পদ্ধতি ব্যবহার করে অ্যান্টি-ভাইরাল পোশাক, গ্লাভস ও মাস্কসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদান তৈরিতে সহায়ক হবে বলেও দাবি তাদের।
অধ্যাপক ড. মো.আবদুস সাহিদ বলেন, কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া আমাদের তৈরি বিভিন্ন ফাইব্রাস মেড ভেদ করে প্রবেশ করতে পারবে না।
এ গবেষণা শিগগিরই কাজে লাগানোসহ জনস্বাস্থ্য রক্ষায় কাযকর উদ্যোগ দেবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা গবেষকদের।